"https://www.facebook.com/sonatandhormo>

Thursday, January 15, 2015

হরে শ্রী হরিচাঁদ হরি

হরে শ্রী হরিচাঁদ হরি
নমঃস্বেজ , অবর্ণ সনাতন ও মতুয়া
মতুয়া ধর্ম বৈদিক কি অবৈদিক এই বিতর্ক অবান্তর | মতুয়া একটি স্বতন্ত্র ধর্ম এটাই যথেষ্ট | তাদের উপর বিভিন্ন ধর্ম সঙ্স্কৃতির প্রভাব আছে| মতুয়া দের অবতার তত্ত্ব নেই | এটা শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর নিজেই অস্বীকার করে গেছেন | ঋক বেদ আদিতে বর্নাশ্রম মুক্ত| একথা মূর্খ রা অস্বীকার করে আর জাতিবাদী বর্ণবিদ্বেষী রা করে | একদল না বুঝে করেন , একদল তাদের নোঙরা স্বার্থ বোধ থেকে করেন| ওরা মানুষকে ঘেন্না করতে শেখায়| অবতার তত্ত্ব মানলে জাতপাত এর তত্ত্ব ও মানতে হয়| লীলামৃত যারা লিখেছেন তাদের ঠাকুরের প্রতি ভক্তিকে শ্রদ্ধা করেই বলছি , তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন | তারা জেনে রাখুন সারা পৃথিবীর মানুষ ওই সব তত্ত্বকে বাতিল করেছেন | জাতিবাদী হিন্দুদের সারা পৃথিবীর মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের জঘন্য নরঘাতকদের সাথে এক বলে চিহ্নিত করেছেন | এমন কি মতুয়া -স্মৃতকথা যার এক অঙশ অন্য ধর্মের প্রভাব কে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেছে তারা সচেতন ভাবে পূর্ণপরমেশ্বর শব্দটি ব্যাবহার করেছেন ( ইনটারনেট এ তাই দেখেছি) | মনে রাখতে হবে পূর্ণপরমেশ্বর শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর কোনোদিন ই ওই শব্দটি স্বীকার করেন নাই | তবে বেদ পড়া যাবে না এমন কথা প্রচার হওয়া ঠিক নয়| সে ক্ষেত্রে ওই একটি মুক্ত আছে | পুরুষসুক্ত পরে ঢোকানো হয়েছে এটা স্পষ্ট | আর বাকী অঙশ দোষ মুক্ত আছে| কিন্তু অন্যগুলি এমন ভাবে দূষিত করা হয়েছে যে তাকে শুদ্ধ করাই মুশকিল| সুতরাঙ বেদবিধি মানার কোনো প্রশ্ন ই আসছে না| আর ঋকবেদ এ কোনো বিধি ই নেই | রিগ্ড্ করে যা ঢোকানো হয়েছে তা পরে করা হয়েছে|
জাতিবাদের সাথে যে সমস্ত তত্ত্ব যুক্ত আছে তার যা কিছু হরিলীলামৃতে ভুলক্রমে ঢুকে গেছে , তা বাদ দিয়ে নূতন সঙ্সকরণ অতি দ্রুত প্রকাশ করা দরকার| অবর্ণ সনাতন ধর্ম ই মতুয়া | এইটেই আদি ও পরমেশ্বরের ধর্ম | কোনো অবস্থাতেই জাতিবাদী সমাজের কোনো লেবেল যেন আমরা না ব্যবহার করি | না " শূদ্র" লেবেল ও নয়|
শক্তিসঙ্গমতন্ত্র বলে যেটা বলা হয় তা প্রাচীন কোনো গ্রন্থ নয় | ওটা সঙস্কৃতে লেখা | আদৌ কোনো বই ওই নামে আছে বা ছিলো কি না কেউ জানে না | এটা রটানো হয়েছে যে ওখানে আছে | কিন্তু যারা রটিয়েছেন এবঙ এখন ও প্রচার করছেন ,তাদের বহু অনুরোধ করেও আজ ১০০ বছরেও তাদের কাছ থেকে সেই সঙ্স্কৃত শ্লোক এর কোনো উদ্ধৃতি পাওয়া যায় নাই| এটা মতুয়া ধর্ম কে বাতিল করে অবর্ণ নমঃস্বেজ দের শূদ্র করণের জন্য করা হয়েছিলো | ডঃ নীহার রঞ্জন রায় পরিষ্কার ভাবে তার বইতে এই সব গাজাখুরি গল্প বাতিল করেছেন| বল্লাল সেন এর গল্পটিও গাজাখুরি গল্প | এইসব গল্প শূদ্রকরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে | যার জন্য ডঃ নীহার রঞ্জন রায় গবেষণামূলক তথ্যের ভিত্তিতে রেসিয়াল কোনো মিল থাকলে তা দেখবার চেষ্টা করেছেন | পরে জিনতত্ত্ব তা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে |
সুতরাঙ আমরা মতুয়া হরি ঠাকুরের মতে| আমরা অবর্ণ হরে শ্রী হরিচাঁদ হরিসনাতনী , ঐতিহ্যগত ভাবে ছিলাম| আমাদের নাম পরিচয়ে কোনো বর্ণ বা জাত থাকার কোনো প্রশ্নই নাই | সারা পৃথিবীর মানব সভ্যতার সাথে আমরা এই একটি ব্যাপারে যেন কখোনো আমাদের ঠাকুরের উপদেশ না ভুলি | আর তাই আমাদের উপকথা অনুযায়ী , আমদের হরিচাঁদ ঠাকুর যা তার শিষ্যদের প্রচার করতে বলেওছিলেন , আমরা নমঃস্বেজ বা সঙক্ষেপে নম |

No comments:

Post a Comment