"https://www.facebook.com/sonatandhormo>

Tuesday, January 20, 2015

ইসলাম কি ভিন্ন ধর্ম?

ইসলাম কি ভিন্ন ধর্ম?
ইসলাম আর্য/সনাতন ধর্মের একটি সংস্কার রুপ।
ইতিহাস কি বলে দেখুন:
সমগ্র আরব জুড়ে বৈদিক ধর্মের প্লাবন চলছিল তখন। ত্রিসন্ধ্যা উপাসনা, আর বার মাসে তের পার্বণ তখন আরবকে মুখরিত করে রেখেছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবরা পরাজিত হলে পাণ্ডবরা তাদের উত্তরের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। কুরুরা নরদান হাইওয়ে হয়ে মরুভূমিতে প্রবেশ করে। যেহেতু কৃষ্ণসাগর পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের শাসনাধীন ছিল, সেকারনে কৌরবদেরকে মরুভূমিতে অবস্থান করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। নিয়মিত পুজা পার্বণের জন্য তারা সমগ্র আরব জুড়ে নানা দেব দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেও পিতৃ শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের স্থান গয়াধাম পাণ্ডবদের নিয়ন্ত্রনে থাকায় তারা আরবভুমিতে গয়াধামের আদলে তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে উদ্যেশ্যে জমজম কুপের নিকট কাবার স্থানটি বেছে নেয় তারা। ভারতের গঙ্গা হিমালয়ের চুড়া হিমাদ্রি শৃঙ্গ থেকে উৎসারিত হওয়ার কারনে এই জলধারাটি আকাশগঙ্গা নামে পরিচিত। আরবের এই জলধারাটি যেহেতু মাটির নিচ থেকে উৎসারিত সেকারনে জলধারাটির নাম পাতাল গঙ্গা। হিব্রুতে “গ” এর স্থলে “জ” হয়ে “গঙ্গা” হয়ে গেল “জঞ্জা” জঞ্জা হতে জমজম।জমজম কুপের ধারেই প্রতিষ্ঠিত হয় শিব মন্দির। শিব এখানে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের স্মরনে মন্দিরটির নাম হয় সোমনাথ; আরবিতে বলে মানাথ। সমগ্র আরব থেকে পিতার উদ্দ্যেশ্যে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ও সোমনাথ দর্শন করার জন্য আরববাসীরা নিয়মিত যাতায়াত করতেন এই তীর্থকেন্দ্রে। পিতার উদ্দ্যেশ্যে শ্রাদ্ধ্ অনুষ্ঠান তাই এর নাম “ইদ-উল-ফিতর”।“ইদ” সংস্কৃত শব্দ; যার অর্থ আনন্দ এবং “ফিতর” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “পিতা’র” থেকে। দুটি শব্দ একত্র করতে আরবিতে উল শব্দ ব্যবহার হয়। সেখানে গয়াধামের আদলে শ্রী হরির (বিষ্ণুর) পদচিহ্ন ও স্থাপিত হয়; যা এখনও আছে। যেকারনে উক্ত মন্দিরকে হরিওম ও বলা হত; যা এখন বিকৃত হয়ে হারাম শরিফ বলে অভিহিত করে। চালু হয় গয়াধামের রীতিতে বিষ্ণু পদ চিহ্নকে কেন্দ্র করে সপ্তপদি বা সাতপাক দেওয়ার রীতি। গঙ্গার আদলে জমজমের জলধারাকে পবিত্র ঘোষণা করা হয়। চালু হয় শিব রাত্রিব্রত। আমরা মুসলিমরা এখনতা তা পালন করি শবেবরাত হিসাবে। ছাগল বলির ইদকে বলে বক্রির ইদ। শুকর যেহেতু বরাহ অবতার এবং কচ্ছপ যেহেতু কূর্ম অবতার সেকারনে শুকর ও কচ্ছপ ভক্কন নিষিদ্ধ থাকে। রীতি অনুযায়ী কুরুবংশই মন্দিরটি দেখাশুনা উন্নয়ন, পরিচালনা ও পূজা পার্বণের দায়িত্ত গ্রহণ করে। কুরুদের এই শাখাটিই পবিত্র ও উচ্চ মর্যাদাশীল হিসেবে গণ্য হয়। তাইএই বংশের নাম হয় “কোরাইশ” (“কুরু+ঈশ=কুরুদের ঈশ্বর) বংশ। হযরত মুহম্মদ (সঃ) এই বংশেই জন্ম গ্রহণ করেন।

No comments:

Post a Comment