"https://www.facebook.com/sonatandhormo>

Tuesday, January 13, 2015

||ঘুমধুমে অর্ধশতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ: ঘরে ঘরে কান্নার রোল||

||ঘুমধুমে অর্ধশতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ: ঘরে ঘরে কান্নার রোল||

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া
কোন ধরণের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদের
নামে তান্ডব চালিয়ে অর্ধশতাধিক পরিবারের
সর্বস্ব তছনছ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় সংখ্যালঘুদের দীর্ঘদিনের ঘর-বাড়ী ও
বসতী এমনকি গবাদী পশুর খড়ের স্তুপ,
গোয়ালঘর পর্যন্ত উচ্ছেদকারীদের কবল
থেকে রক্ষা পায়নি। উচ্ছেদ অভিযান
চলাকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শত শত নারী-
পুরুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বিলাপ করতে থাকে।
স্থানীয় জনৈক মেম্বারের স্বার্থ
রক্ষার্থে গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর
পর্যন্ত চলা এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন
বান্দরবান জেলার
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এ
উচ্ছেদ অভিযানে কনকনে এ শীতের দিনে নারী ও
শিশুসহ প্রায় ৩ শতাধিক লোক খোলা আকাশের
নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
গতকাল শনিবার উচ্ছেদ অভিযান
পরিচালনাকারী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার
ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আবু শাফায়েত মোহাম্মদ
সাদেকুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলা ও
দায়রা জজ আদালতের
নির্দেশে সরকারী জমি থেকে জবর
দখলকারীদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্থানীয় সুবত
বড়–য়া ২০১০ সালে কৃষি ব্যাংক অর্থ ঋণ
আদালত থেকে উক্ত জবর দখলকৃত জমি সহ ২৫
একর জমি দীর্ঘ মেয়াদী লিজ নেন। কিন্তু
তিনি জমিতে দখলে যেতে না পারায়
আদালতে উচ্ছেদ মামলা করে। এ মামলার
প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান
পরিচালনা করা হয়। অভিযান
চলাকালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ
আবুল খায়ের সহ আদালতের লোকজন ও বিপুল
সংখ্যক পুলিশ আনসার উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুবত বড়–য়া বলেন,
আদালতের নির্দেশে আমার লিজ জমি দীর্ঘদিন
পর প্রশাসন কর্তৃক বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২৬৭ নং মৌজার ঘুমধুম
পাহাড়ী এলাকায় যুগ যুগ
ধরে বসতী করে আসা স্থানীয় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ
সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষোভ ও বিলাপ
করে গতকাল বলেন, অন্তত সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার ছাঁয়াদানকারী বর্তমান
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রচন্ড শীতের
তীব্র যন্ত্রণায় ছোট ছোট শিশুদের
নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। উক্ত
পাহাড়ী খাস জমিতে বসবাসকারী বিধবা কুসুম
বড়–য়া, রুমা বড়–য়া, সুখী বড়–য়া, শেফালী বড়–
য়া, স্বর্ণালী বড়–য়া, সন্ধ্যা বড়–য়া, রতন বড়–
য়া, স্বপন বড়–য়া, আলী মিয়া, কালু বৈদ্য,
আনন্দ বড়–য়াসহ অর্ধশতাধিক উচ্ছেদকৃত
পরিবারের ভূমিহীন নিরীহ লোকজনের
মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। নারী শিশুদের
বিলাপ ও আর্তচিৎকারে এলাকার বাতাস


ভারী হয়ে উঠেছে।
তাদের মতে স্থানীয় ঘুমধুম ইউপি সদস্য সুবত
বড়–য়া ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘ প্রায়
৫ বছর ধরে সরকারী খাস জমি থেকে উচ্ছেদ করার
ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। অবশেষে কয়েক মাস
পূর্বে মেম্বার নির্বাচিত
হয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে গতকাল কোন
ধরণে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাদের বসত বাড়ী ও
সহায় সম্বল ধ্বংস করে খাস জমি থেকে উচ্ছেদ
করে দখল করে নিল। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ
ভূমিহীন লোকজন জানান, বসত বাড়ী ও সহায়
সম্বল রক্ষার্থে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও
প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুরের কাছে আবেদন
করলে তিনি উচ্ছেদ করা হবে মর্মে ভূমিহীনদের
যথাযথ ভাবে পুর্নবাসনের আশ্বস্থ করেছিলেন।
কিন্তু র্দুভাগ্য মন্ত্রীর
অজান্তে গোপনে বিনা নোটিশে স্থানীয়
প্রশাসন ও পুলিশ হাতে নিয়ে উলে¬খিত মেম্বার
সুবত বড়–য়া আমাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে।
আমরা সরকারের নিকট ভুমিহীন সংখ্যালঘু
হিসেবে পুর্নবাসনের আবেদন জানাই।

No comments:

Post a Comment